বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে সবার আগে জাতীয় দলে জায়গা পাবেন যারা
|একদিক থেকে খালেদ মাহমুদের তালিকাটা চমকই জাগায় বটে। সেমিফাইনালে যাঁর সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে দিল, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যিনি সবার ওপরে (১৭৬ রান, সব মিলিয়ে তালিকায় ১৬তম), সেই মাহমুদুল হাসানকেই তালিকাতে রাখলেন না মাহমুদ!
অবশ্য সাবেক বাংলাদেশ অলরাউন্ডার আর বর্তমানে বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান মাহমুদ তালিকাটা যখন করছিলেন, তখনো সেমিফাইনাল শেষ হয়নি।
কীসের তালিকা? গতকাল পচেফস্ট্রুমে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ যখন সেমিফাইনালে লড়ছে, আইসিসির ওয়েবসাইটে এক ভিডিও সাক্ষাৎকার দেন মাহমুদ।
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, টুর্নামেন্টে দারুণ খেলতে থাকা এই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মধ্যে কাদের দ্রুতই জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা দেখেন মাহমুদ?
তাতে চারটি নামের প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক—বাঁ হাতি ওপেনার তানজীদ হাসান, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়, অধিনায়ক আকবর আলী ও বাঁ হাতি স্পিনার রকিবুল হাসান।
পচেফস্ট্রুমেই রোববার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তাতে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে কি না, তা ভবিষ্যৎ বলবে।
ফাইনালে উঠেই অবশ্য এরই মধ্যে একটা ইতিহাস গড়ে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তো বটেই, আইসিসি আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টেই এবার প্রথমবার ফাইনালে ম্যাচের আগে বাজবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। এর আগে যে কখনো কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা হয়নি বাংলাদেশের।
তা এবার খেলতে যাওয়ার আগ থেকেই অবশ্য বাংলাদেশ ছিল ফেবারিটের তালিকায়। টুর্নামেন্টজুড়ে খেলেছেও দারুণ। আইসিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দলের এমন সাফল্যের রহস্য জানাতে গিয়ে মাহমুদ জানালেন, দুবছর ধরে ১৫-১৮ জন নিয়ে কাজ করেই এই দলটা গড়া হয়েছে। বিশ্বকাপে চোখ রেখে নিউজিল্যান্ডে, শ্রীলঙ্কায় কিংবা নিজেদের মাটিতে মিলিয়ে ৩০টির মতো ম্যাচও খেলেছে বাংলাদেশ। মাহমুদের চোখে, এই দলটা বাংলাদেশের এযাবৎকালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিণত।
সাকিব-তামিম-মিরাজরা জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠ মাতানোর আগে হাত মকশো করেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেই। বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মধ্যে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলতে পারেন? সে প্রশ্নে মাহমুদের উত্তর, ‘আমি তো চাই এই দলের প্রত্যেকেই এক সময় জাতীয় দলে খেলুক। (গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির) প্রধান হিসেবে আমি বেছে বেছে নাম নেওয়া উচিত হবে না। তবু আমি চারটি নাম বলব—তানজীদ হাসান তামিম, তৌহিদ হৃদয়, অধিনায়ক আকবর আলী ও রকিবুল হাসান। আশা করি ওরা খুব শিগগিরই সিনিয়র দলের হয়ে খেলবে।’
টুর্নামেন্টে তানজিদ ৫ ম্যাচে ১৪৯ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় ২৪তম (বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয়)। তৌহিদ ৫ ম্যাচে ১১৪ রান নিয়ে তালিকায় ৪৬তম। আকবর আলী অধিনায়ক হিসেবে বিচক্ষণতা দেখিয়েছেন। আর রকিবুল ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় ৯ম, বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ।