চীন থেকে লাইভে এসে যা বললেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
|করোনাভাইরাসের সং’ক্রমণে চীনে এখন পর্যন্ত ১৩২ জন মা’রা গেছেন। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এতে আ’ক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন।
দেশটির যে শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে সেই উহান শহরে আ’টকা প’ড়েছেন বাংলাদেশিসহ বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকরা। কারণ, সেখানে বাইরে থেকে কাউকে ‘ঢু’কতে দেয়া হচ্ছে না। আবার শহর থেকে কাউকে বের হতেও দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে দেশটিতে অধ্যয়নরত বর্ণ সিদ্দিকী নামের এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মঙ্গলবার তার ফেসবুকে লাইভে এসে সেখানকার পরিস্থি’তি জানিয়েছেন। তিনি চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বসবাস করছেন ইউনান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে। লাইভে বর্ণ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ মুর্হূতে দেশের স্বার্থে আমি আমার মাতৃভূমিতে যাব না। চীনে আমরা শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও হাজার হাজার বাংলাদেশি আছেন।
আমরা জানি না, এ রো’গটা কারও কাছে চলে এসেছে। এ রো’গটার একটা অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এটি শরীরে আসার পর থেকে ১৪ দিন অবস্থান করবে এবং কোনো লক্ষণও প্রকাশ করবে না। এখন আমরা যারা এখানে আছি, তারা যদি দেশে ফিরে যাই তাহলে নিজের অজা’ন্তেই কারও না কারও সাথে এই ভাইরাস দেশে চলে যেতে পারে। তাই দেশের স্বার্থে এখন চীনে থাকাই ভালো।’ চীনের বর্তমান পরিস্থি’তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা চীনেই আত’ঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে এ বিষয়ে গ’ণমাধ্যমে তেমন খবর আসছে না। আমি আমার চাইনিজ বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চীনে এই ভাইরাসে আ’ক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি, যা বহির্বিশ্বের গ’ণমাধ্যমে তেমন খবর প্রকাশ পাচ্ছে না। চীন সরকার চাচ্ছে না যে এই ভাইরাসটার কারণে অন্যরা উদগ্রী’ব হোক।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব চীনের অর্থনীতিতেও পড়েছে।
আমি ইতোমধ্যে অনেকগুলো বাজার ঘুরেছি, আগে এসব বাজারে শাক-সবজির কোনো ঘাটতি না থাকলেও এখন কোনো কাঁচা তরকারি পাওয়া যাচ্ছে না, যা পেয়েছি তা শুষ্ক খাবার।’ গতকাল চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ঢাকাকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরতে আরও ১৪ দিন লাগবে। করোনাভাইরাসের সং’ক্রমণ রোধের লক্ষ্যে ১৪ দিন পর্যন্ত উহানে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।